পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

আমি কার দলে??


https://www.facebook.com/pages/সবুজ-এর-ব্লগ/301660953266933?ref=bookmarks

চুর আর গিরস্থের মাঝে ভালোই খাতিল, মাঝখানে পরে আমার কেন এই অবস্থা? মানুষের স্বার্থ নিয়ে আর কত চিন্তা করতে হবে, একটা মানুষের মুখে হাসি দেখার জন্য কেন নিজের অনেক কিছু ছাড় দিতে হবে ?? 

নিজেকে বিলিয়ে দিতে দিতে শেষ সীমানায়, আর এটাই কি প্রাপ্য? যার একটু ভালো করতে চাই, সেই উলটো আমাকে শত্রু মনে করতে শুরু করে। আমি কারও সাথে প্রতিযোগিতায় যেতে রাজি নই। কারন একজন হারবে একজন জিতবে এটা আমি মানতে নারাজ। দুজনই জিতে যাক। সবার ভালো চিন্তা করতে গিয়ে নিজেকে হারাতে বসেছি মনে হচ্ছে। 

সবাই তো মুখে অনেক পট পট আর প্রশংসা করতে পছন্দ করে, কিন্তু মন থেকে কয়জনই বা কারও ভালো চাই। সব ভালো একজনই করতে চায়। আর বাকিরা কি করবে? মন থেকে যতক্ষণ আপনি কারো ডাক শোনতে না পারেন তাহলে আপনি মানুষ নিয়ে আরও পড়াশোনা করুণ, কারন আপনি আসল নকল চিনতে পারলেন না এখনো। 

আপনি প্রশংসার যোগ্য হলে আপনি পাবেন তা, আগে আর পরে। কিন্তু মানুষ মুখের কথা বিশ্বাস করে, মুখের কথার প্রাধান্য জগতে অনেক। কারন মনের কথা শোনার মত সময় সবার কাছে থাকে না। সবাই সবকিছু শোনতে পায় না। স্বাভাবিক। 

এতো কষ্ট করার কি মানে? কোন কারণ নাই, শুধু কিছু মানসিক চাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য আর কিছু নয়? সবার মন তো চায় একটু আরাম করতে, একটু ফ্রি হয়ে থাকতে। কিন্ত হাসির মাঝে একটু প্রশান্তি লাভের জন্য এতটা কষ্ট করা। জীবন টা বিলাসিতার না, জীবন টা বাস্তবতার।

সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

বেঁচে থাকার প্রেরণা

নিজেকে অতীবও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা আসলেই বোকামির লক্ষণ... পরিবর্তন করতে
পারলাম না নিজেকে... আমৃত্যু  বয়ে বেড়াতে হবে।


আপনার কাছে অন্যরা যতটা  গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের কাছে আপনি অতটা গুরুত্ব
নাও পেতে পারেন। স্বাভাবিক ব্যাপার। 


শুধু প্রয়োজনের সময় একটু সাহায্য করবেন আর একটা ধন্যবাদ আশা করতে পারেন.....এর বেশী আর কি কিছু পাবার মত যোগ্যতা আছে আপনার...?? 


আপনি কি পারেন......??


না মানুষকে হাঁসাতে পারেন নাম, মজা দিতে পারেন,
কি করে আপনি তাঁদের আপন হবেন,
তাঁদের আপনি আপন মনে করলে কি হবে,
তারা তো আপনাকে আপন মনে করে না,
আপনি কারো আপন না কারো কিছু না,
এটা মানতে আপনি বাধ্য...।। 


ক্যান নিজেকে এত উদার করে চিন্তা করেন,
সবাই তো ভালো আছে,
ভালো থাকুক না,
আপনাকে ছাড়া তো ভালো থাকতে জানে সবাই,
আপনিই শুধু পারেন না।


আপনি তাঁদের এত মূল্যায়ন করেন, আর তারা সবাই
অন্যের মূল্যায়ন পাবার আশায় চলে,
কি দরকার আপনার এত চিন্তা করার.........??

.... স্রষ্টার কাছেও এজন্য হয়ত আমি এত অপ্রিয়। তারপরও আমি কৃতজ্ঞ।
স্রষ্টার সৃষ্টি আর স্রষ্টার রীতি সবই জটিল......??? 




রবিবার, ১ জুন, ২০১৪

নির্ঘুম রাতের কিছু কথা



বাড়ির প্রতি একটা আলাদা মায়া তৈরি হয়ে যায়। বাড়িতে বেশি বেশি যেতে চাইনা এজন্য। তাঁদেরকে একসাথে পাবো না জানি। মা বাবা তাঁদের চাকরি নিয়ে বেস্ত থাকে। কিন্তু এবার মা বাবার স্কুল ছুটি ছিল, তাই আমি তাঁদের মাঝে আলাদা একটা প্রাণ খুঁজে পেলাম। অন্য এক ভুবন, যেইটা বারবার চোখের সামনে ভেসে আসে। আপনি মনে করতে চাইবেন না, আপনার অবচেতন মন আপনাকে মনে করিয়ে দিবে। খুব বেশি সময় থাকলে এরকম কষ্ট থাকে না। কিন্তু ছিলাম মাত্র একদিন, তাই কষ্ট টা একটু বেশি। মায়ের আদর আর বাবার শাসন তাও মধুর ছিল। আর ছোট ভাইটার সাথে একটু খুনসুটি। অনেক মজার, ছোট ভাইয়েরও স্কুল বন্ধ। 

গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, এরকম সময় আর কবে পাবো। আমি প্রথম বাড়ির বাইরে আসি কলেজে ভর্তি হবার পর। তখন থেকে আমার এরকম সমস্যা। বুকের বেথা টা এজন্য আরও বেড়ে আছে। কিছুতেই কাটানো যাচ্ছে না অবচেতন মনের গহীনে মিশে থাকা ভালোবাসার পরশ। অবচেতন মনকে আর কিছু বোঝানো না,মা বলে চাকরি করার কি দরকার, পড়াশোনা কর ঠিক করে আর ভালো গ্রেড পেতে। কিন্ত আমার তো কিছু করতে হবে। তাই কিছু করার চেষ্টা করি। বাবার কথা রেসালট যাতে ঠিক থাকে। আর ছোট ভাই গেমসের পাগলা, মোবাইল আর কম্পিউটার পাইলে সে বসে যায় গেমস খেলতে। তার মাঝে এক উদ্ভাবনী ক্ষমতা আছে যা দেখে আমি নিজেই পুলকিত। তার কথা একটা কম্পিউটার লাগবে, আর আমি কবে আর বাড়ি যাবো। বাবা বলে আর একদিন থেকে যা, মা ও বলে কালকে জাইস, আজকে থাক। কিন্তু আমিতো ক্লাস মিস করব না, আবার এক্সাম ছিল। তারপরে অফিস, অফিস না গেলেও হয়। কিন্তু মাথায় ছিল মা বাবাকে নিয়ে কবে একসাথে থাকতে পারব। বাড়িতে যাবার কথা হলে আমার ভয় লাগে এজন্য। আমার মনের মাঝে অদ্ভুত একটা চেতনা কাজ করে, নিজেকে হারিয়ে ফেলি, কি করব না করব কিছু ভেবে পাই না। 

বাড়ি থেকে আসার পর মনে হয় আবার বাড়ি যাই। আর কিছুদিন থেকে আসি। কিন্তু তাও সম্ভব না। কাজ আছে, ক্লাস আছে, নিজেকে কত করে বুজালাম...... কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। সব কাজের মাঝে আমি অন্যমনস্ক হয়ে যাই। তাঁদের কি করে বোজাবো, কি করব তখন নিজেও ভেবে পাই না। মার স্কুল শুরু হয়ে গেলে মাও আর সময় পায় না। বাবাও না। তাই একটু সময় পেয়ে তাঁদের কাছে যেতে ইচ্ছা করে। আমার সময় হলে তাঁদের সময় হয় না। তাঁদের সময় হলে আমি বন্ধ পাই না। আমার যখন ভার্সিটি বন্ধ থাকে তখন তাঁদের স্কুল খোলা, আর যখন তাঁদের স্কুল বন্ধ তখন আমার সময় হয় না, কারণ ভার্সিটি আছে। কি এক অদ্ভুত মিল...? তখন খুব রাগ হয়। আবার মাঝে মাঝে বলি আব্বু আম্মু দুজন ক্যান চাকরি করে, একজন করলেই তো হয়। কিন্তু তাও সম্ভব নয়। তাঁদের কে কাছে পাই না আমি ছোট বেলা থেকে। স্কুল থেকে ফেরার পর তাঁদেরকে পেতাম। তাই আমার আক্ষেপটা একটু বেশী, ক্যান হল, না হলে কি নয়...?? আমার আমিকে প্রশ্ন করা, আর উত্তর খুঁজে বেড়ানো। মানুষ তো, আমিও মানুষ। তাই কারো মা বাবার কথা একটু শুনলেই কি জানি মনে হয়। আমার এইটা একটা বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারো জন্য ভালো কিছু  করা হয় না। আমি কি করব...?? সবার মত আমি মনের কথা গুলো সহজে বলতে পারি না, আসে না আমার, কিন্তু ভিতর যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ একটা চাপা কষ্ট মনে মাঝে বয়ে বেড়াবে। চাপা কষ্টের জন্য বুকের ভিতর খুব চাপ দে। ভালোবাসার মানুষ গুলো যদি তাও না বোঝে আমি কি বলে বোঝাব? আমার কাছে কোন ভাষা নাই বলার বা বোঝাবার। নিরব মানুষ গুলো সবার অগোচরে চলতে পছন্দ করে এজন্য। একা একা যার পথচলা সে সবার সাথে কেমনে চলবে?? ফাউল ছেলেদের ফাউল কাজ... নিজেকে নিজেই গালাগাল দেই অনেক সময়। 

তুই এমন ক্যান রে...??
কেমন...??
পুরাই ফাউল। কোন কাজের না, কিছু করতে পারিস না ঠিক করে,কারো সাথে ঠিক করে চলতে পারিস না কিছু না। এরকম মানুষ হয় নাকি...............??
উত্তর গুলো আজো অজানা,অচেনা। অচেনা মানুষ হয়ে থেকে গেলাম।
  

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

কেন হয় এমন??

কথাগুলো হয়ত না বললেও হত। আমার রাগের তুলনায় আরেকটা মানুষের অশ্রু আমার কাছে অনেক মূল্যবান। আমি সবসময় চাই আমার দ্বারা যাতে কারো কষ্ট না হয়। কিন্তু কিছুই করতে পারি না। মানুষের উপকার করতে না পারি কিন্তু কখনো কষ্ট দিতে চাই না। আজকে রাগের মাথায় কাজটা করে ফেললাম। খুব স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করে বলেছিলাম কথাগুলো। কোন রাগ ছিল না। কিন্তু আমি যেরকম ভাবলাম হল ঠিক তার উল্টো। নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে। বাবার মুখে অনেকদিন হল ধমক খাই না। পূর্ণ হল সেই স্বাদ। আমিতো এরকম কিছু চাই নাই। বৃদ্ধ মানুষটি অনেক কষ্ট না পেলে তো এর কাঁদে নাই। মহিলার জন্য হোক বা মহিলার ব্যাবহারে হোক, আমি না বললেই হত। বাবার সেই চিরচেনা কথা, একটু না হয় কষ্ট করলি। সারাজীবন শুনে আসলাম। কষ্ট পেলেও বলা যাবে না। তাঁদের কাছেও বলতে পারি না। ...............।
...........................
.....................।
এরকম সবকিছু মেনে নেয়েই হয়ত জীবন চলে যাবে। সারাজীবন বয়ে বেড়াব। সবার কথা মেনে নিয়ে হয়ত আমারা পথচলা। আমার কথা না হয় ভুলই হল, তাই সবার কথাকে আমি সঠিক মেনে নিয়ে চলি। আমি যা মনে করি অন্য কাউকে বুজানো যায় না। অস্বাভাবিক মানুষের দলে পড়ে যায় অনেকেই। স্বাভাবিক সবাই যা ভাবে অনেকে হয়ত ওরকম নাও ভাবতে পারে। এমনটাই হবার কথা ছিল ????
............।।
........................ 

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০১৪

মানুষের আর্তনাত

মানুষ আসলেই খুব  অদ্ভুত একটা প্রানি
যখন যারে  ইচ্ছা তাকেই ব্যাবহার করি
স্বার্থ ছাড়া এক পাও আগাতে চাই না
স্বার্থ শেষ হলে, কর্ম  উদ্দার হলে
মানুষেরও প্রয়োজনও শেষ হয়ে যায় ...।

একজনকে ভোলার জন্য অন্য একজনকে সঙ্গী করি
আবার তাকে ভোলার জন্য অন্য একজনকে আনি
এরকম করে চলে নিজের মত খেলা
সেই খেলাই কেউ বা ডুবে যায়
যাকে আর ফেরানোর কোনও উপায় থাকে না............।
...............

কেউ কেউ তার সবটা দিয়ে চেষ্টা করে কাউকে খুশি করার জন্য
কিন্তু বিনিময় কি পায় সে,
তার অবদান কি এত ছোট............??


হয়ত মানুষ বলেই পারে
সবাই তা পারেনা, করেও না,
কেন এরকম করতে হয়,
...............।।
.....................।

কেউ কারো হাসিমুখ দেখার জন্য যুদ্ধ করে
কিন্তু হাসিমুখের বিপরীত দৃশ্য তার জন্য অপেক্ষা করে,
কেন করে এরকম.........??

যাদের কাছে এত টুকু মূল্য নাই
তাদের জন্য কেন এত প্রেম মানুষের......??





সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

২৪-০৩-২০১৪

This is Life and this is reality.....
Today is such kind of a day...
A day with a Bad news....
A day of busy life..
At last a happy smile
...............
.................
...................
মানুষ তো মরবেই
মরণশীল প্রানি
কিন্তু যারা মৃত্যুর  খুব কাছ থেকে ফিরে আসে
তাদের কাছে , তাদের মুখে না শুনলে বিশ্বাস করা যায় না
এত বড়  বিপদ থেকে বেঁচে আসতে পারে,
সবটুকু প্রশংসা ওপর এর ওনার প্রতি...।।