ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মঙ্গল গ্রহ পর্যবেক্ষণরত নাসার একটি উপগ্রহ গ্রহটিতে ‘তুষারপাত’ হওয়ার পরিষ্কার প্রমাণ পাঠিয়েছে। তবে ‘ড্রাই আইস’ নামে পরিচিত এই তুষার বা বরফ পানির তৈরি নয়, কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের তৈরি।
মঙ্গলবার নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রথম সৌরজগতের কোথাও কার্বন ডাই অক্সাইড তুষারপাতের কথা জানা গেলো।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসই ‘ড্রাই আইস’। হিমাঙ্কের (০ সেলিসিয়াস) নিচে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস জমে ড্রাই আইস বা শুষ্ক বরফে পরিণত হয়। মাইনাস ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার অর্থ অকল্পনীয় ঠাণ্ডা পরিবেশ।
যদিও মঙ্গলের অনেক এলাকাই দেখতে পৃথিবীর মতো কিন্তু কার্বন ডাই অক্সাইডের তুষারপাতের কারণে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন লাল এই গ্রহটির পরিবেশ পৃথিবীর পরিবেশ থেকে অনেক আলাদা।
ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় অবস্থিত নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) বিজ্ঞানী ও প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক পল হায়েন বলেন, “কার্বন ডাই অক্সাইড তুষারপাতের এটি প্রথম নিশ্চিত ইঙ্গিত। আমরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি মেঘগুলো মঙ্গলের বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড মেঘ আর এগুলো তুষারপাত ঘটানোর মতো যথেষ্ট ভারী।”
মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুকে ঘিরে থাকা শীতকালীন মেঘ থেকে এই তুষারপাত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। মঙ্গলে কার্বন ডাই অক্সাইড বরফের উপস্থিতি ঋতুভিত্তিক। সময়ের সঙ্গে এর হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুর মেঘ টুপিটির হ্রাস-বৃদ্ধি কয়েক দশক ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে ২০০৮ সালে নাসার পাঠানো মঙ্গলযান ফিনিক্স গ্রহটির উত্তর মেরুতে পানি থেকে তৈরি তুষারপাত পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এবি/সিআর/১৩০০ ঘ. http://world.bdnews24.com/bangla/details.php?id=204726&cid=1
|
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন