প্রতিবছর ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার (ই.সি.এ.) অফ দা ইউ.এস. ডিপার্টমেন্ট অফ ষ্টেট হতে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত গবেষণা ধর্মী গ্রুপ এইচ.টি.আই [হিউম্যান টেকনোলজি ইন্টার্যাকশন] এর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি বহুল কাঙ্ক্ষিত ইন্টারন্যাশনাল ফুলব্রাইট স্কলারশিপ “সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাওয়ার্ড ২০১০-২০১১" পেয়েছিলেন।
বাংলাদেশে ওপেন স্ট্রীট ম্যাপের উদ্যোক্তা ও রিসার্চ গ্রুপ “হিউম্যান টেকনোলজি ইন্টার্যাকশন” এর উদ্যোক্তা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষক ছিলেন ।
বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থিত কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে ইনফরমেশন সাইন্সে মাস্টার্স করে ইন্টার্যাক্টিভ ডিজাইন ল্যাবে পি.এইচ.ডি করছেন। তিনি নভেম্বর ২০১১ এএমআইএ ফল সিম্পোজিয়ামে ইন্টারেক্টিভ সিস্টেম ইন হেলথকেয়ার ওয়ার্কশপে তার “বার্থ রেকর্ড কমিউনিকেটরঃ এ পাথওয়ে টু অটোমেটেড হেলথ ডাটা একিউজিশন সিস্টেম” পেপারটি উপস্থাপনা করেন।
এছাড়াও ২০১২ তে মে মাসে আমেরিকার টেক্সাসের বোস্টনে অনুষ্ঠিতব্য “এডুকেশনাল ইন্টারফেস সফটওয়ার অ্যান্ড টেকনোলজি”তে একমাত্র বাংলাদেশী যিনি অর্গানাইজার হিসেবে রয়েছেন । এটি “কম্পিউটার হিউমেন ইন্টারেকশন” (সিএইচআই) ২০১২ এর সাথে সংযুক্ত হয়ে ই,এ,এস,টি তাদের ৩য় কর্মশালা আয়োজন করেছিল। https://sites.google.com/site/eist2012/home/organizers
“এডুকেশনাল ইন্টারফেস সফটওয়ার টেকনোলজি” এ সেমিনারের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টার্যাকশন, ক্লাউড কম্পিউটিং, ন্যাচারাল ইউজার ইন্টারফেস আর গেসচারেল ইন্টারফেস যেমন নিনটেনডো উই, মাইক্রোসফট কাইনেক্ট এর মত প্রাকটিক্যাল নতুন টেকনোলজি গুলি ছাত্রদের কাছে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছিল যেন পরবর্তীতে তারা নিজেরাই বাসায় নিজে নিজে শিখতে পারে ও কাজ করতে পারে ।
এ সেমিনারের অর্গানাইজারদের মধ্যে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ সবচেয়ে নবীন। এছাড়াও অর্গানাইজার হিসেবে আছেন স্মার্ট টেকনোলজির এডওয়ার্ড টিএসই, ইউনিয়ন কাউন্টি পাবলিক স্কুলের লিয়েন ভি মারেনটি, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালেক্স থায়ের, টেকনিসচ ইউনিভারসিটেট ডারমস্তেদ এর জচেন হুবার ও মক্স মুহলহাসার, ইউনিভারসিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার সি জাং জান কিম, বোওয়ি স্টেট ইউনিভারসিটির কিউন্সি ব্রাউন।
ইম্যাজিন কাপে তার হ্যাপ প্রজেক্টটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
গত বছর জুলাইতে “স্পন্দন বি ইন্টারপ্রিয়িয়নশিপ কনটেস্ট “ এ চ্যাম্পিয়ন টিম এপিকেলিপটিক টিমের মোবিএড প্রজেক্টটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। বাকিরা ছিলেন বুয়েটের সাজেদুর রহমান,আসিফ সেতু, সৈকত।
ওপেন স্ট্রীট ম্যাপকে বাংলাদেশে প্লট করার উদ্যোক্তা তিনিই। স্পেনে আয়োজিত দা ষ্টেট অফ দা ম্যাপ(এস.ও.টি.এম.) কনফারেন্স ২০১০ এ ওপেনস্ট্রিটম্যাপ ট্রাভেল স্কলারশিপ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনিই অংশগ্রহণ করেন।
http://wiki.openstreetmap.org/wiki/User:Ishtiaque
http://www.mail-archive.com/talk-bd@openstreetmap.org/msg00010.html
এছাড়া তিনি এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে “মোবাইল ফোন বেজড অ্যাপ্রচ ফর মাইক্রোক্রেডিট ইন রুরাল বাংলাদেশ“ প্রজেক্টটিতে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিকে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছেন।
“স্মার্ট ব্ল্যাড ব্যাংক কুয়েরি :“এ নভেল মোবাইল ফোন বেজড প্রাইভেসি- অ্যাওয়ার ব্লাড ডোনার রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ফর ডেভলপিং রিজিয়নস“ ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ওয়েবসাইট। HTI এর ওয়েবসাইট।
http://idl.cornell.edu/welcome/people/
http://cornell.academia.edu/SyedIshtiaqueAhmed
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন